অ্যাকরাইলিক ফাইবারের মূল কাঁচামাল হাইড্রোজেন সায়ানাইড (HCN) ও অ্যাসিটাইলিন (CH=CH), অন্য পদ্ধতিতে ইথিলিন (CH2=CH2 ) ও হাইড্রোজেন সায়ানাইড (HCN) অ্যাকরাইলিক ফাইবার অর্থ্যাৎ অ্যাকরাইলো নাইট্রাইলের একটি পলিমার, কমপক্ষে ৮৫% অ্যাক্রাইলো নাইট্রাইল দ্বারা অ্যাকরাইলিক ফাইবার তৈরি করা হয়। ডিনাইল সায়ানাইডকেই অ্যাকরাইলো নাইট্রাইল বলা হয়।
CH2=CH
।
C=N
উলের মতো গুণাগুণের কারণে অ্যাকরাইলিক ফাইবারকে উলের বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা হয়। নিটেড ফেব্রিক, টি শার্ট, সোয়েটার ও কম্বল তৈরিতে অ্যাকরাইলিক ফাইবার বর্তমানে প্রচুর পরিমাণে ব্যবহৃত হচ্ছে। বাণিজ্যিকভাবে অনেক ধরনের অ্যাকরাইলিক ফাইবার রয়েছে যেমন- অরলন, অ্যাকরিল্যান, করটেলি, ক্রেসল্যান ইত্যাদি।
এ বিক্রিয়াটি Ca2Cl2 (কিউপ্রাস ক্লোরাইড), ক্যাটালিস্ট-এর উপস্থিতিতে ৮০° C তাপমাত্রায় একটি নির্দিষ্ট অ্যাটমোসফিয়ারিক তাপে সংঘটিত হয়।
কাঁচামাল
হাইড্রোজেন সায়ানাইড, (HCN) ও অন্য পদ্ধতিতে
অ্যাসিটাইলিন (CH=CH) ইথিলিন CH2=CH2 ও হাইড্রোজেন সায়ানাইড (HCN)
অ্যাকরাইলিক ফাইবারের প্রস্তুতপ্রণালি
অ্যালুমিনিয়াম পারসালফেট ও সোডিয়াম বাই সালফাইড প্রথমে পানিতে ৪০° তাপমাত্রায় দ্রবীভূত করা হয়। এরপর অ্যাকরাইলো নাইট্রাইল ও কিছু ভিনাইল মনোমার একটি পাত্রে ২ ঘণ্টা যাবৎ নাড়া হয়। এতে পলিমারের দানা পড়ে তা ধৌত ও ফিল্টার করে শুকানো হয়। এই অ্যাকরাইলো নাইট্রাইলের মনোমার পানিতে দ্রবণীয় কিন্তু পলিমার পানিতে অদ্রবণীয়। এ ছাড়া পলিমারাইজেশন পাত্র বাতাস মুক্ত রাখতে হবে এবং দ্রবণের pH 2.5 রাখা প্রয়োজন।
অতঃপর উক্ত পলিমারকে সলুউশন ভ্যাসেলে সলভেন্ট যারা দ্রবীভূত করে স্পিনারেট প্রেরণ করা এবং ড্রাই স্পিনিং এর মাধ্যমে ফিলামেন্ট সংগ্রহ করা হয়। যা বিভিন্ন গাইড রোলারের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ হয়ে বৰিনে জড়ানো হয় অথবা শপিং হিট সেটিং ও সবশেষে কেটে ছোট ছোট স্ট্যাপল ফাইবারে রূপান্তর করা হয়।
অ্যাকরাইলিক -এর ব্যবহার
১. উলের মতো অনুভব ও গুণাগুণের কারণে অ্যাকরাইলিক ফাইবার নিটেড ফেব্রিক, সোয়েটার ও কম্বল তৈরিতে ব্যবহার হয়।
২. এটি পলিয়েস্টার ফাইবারের সাথে ব্লেন্ডেড করে বিভিন্ন ধরনের কাপড় তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।
৩. এটি কটনের সাথে ব্লেন্ডেড করে স্পোর্টস শার্ট তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।
৪. ভালো রেসিলিয়েন্সি ও উজ্জ্বলতার কারণে এটি পাইল ফেব্রিক তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।
৫. কার্পেট ও ছোট গালিচা তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।
আরও দেখুন...